কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের বামুলা পাড়া গ্রামে আজ মঙ্গলবার তুচ্ছ বিষয়ে হামলায় মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীসহ ১১জন গুরুতর আহত হয়েছে। আহতরা হলেন, ওই গ্রামের গোলাম সোলতানের পুত্র স্কুল ছাত্র আবুল কালাম (২৮), নুরুচ্ছবির পুত্র ওসমান গনি (২৬), মুক্তিযোদ্ধা মৃত গোলাম নবীর স্ত্রী ছায়েরা খাতুন (৮০), জাফর আলমের স্ত্রী কমরুন্নেসা (৪০), শফি আলমের স্ত্রী রাশেদা (৪৫), বদি আলমের স্ত্রী খানিছা বেগম (৩৪). মছল আহমদের স্ত্রী রহিমা বেগম (৪৫), মৃত গোলাম নবীর দুই পুত্র জফির আলম (৪৫) ও শফি আলম (৪৬), আহমদ নবীর পুত্র নবী হোছন। আহতদের পেকুয়া সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে রহিমা বেগম ও নবী হোছনকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও আহতদের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার দিন দুপুরে ওই গ্রামের গোলম নবীর পুত্র শফি আলম তার বোনের জামাই জাফর আলমকে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে মারধর করে। খবর পেয়ে জাফর আলমের ছেলেরা তাদের পিতাকে মামা শফি আলমের কবল থেকে উদ্ধার করতে যায়। এদিকে জাফর আলমকে অকথ্য নির্যাতন চালানোর সময় স্কুল ছাত্র আবুল কালাম হামলার ভিডিও চিত্র ধারন করেন। এমময় হামলার ভিডিও চিত্র ধারন করায় শফি আলমের লোকজন স্কুল ছাত্র আবুল কালামকে ব্যাপক মারধর করে। খবর পেয়ে আবুল কালামের আত্মীয় স্বজনার তাকে উদ্ধার করতে গেলে তাদের উপর হামলা করে শফি আলমের লোকজন। এতেই উভয় পক্ষের সংঘর্ষে নারী-পুরুষসহ ১১জন আহত হয়েছে।
এদিকে সংঘর্ষের খবর পেয়ে পেকুয়া থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ব্যাপারে আহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
পেকুয়া থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই শফিকুর রহমান জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। gupc
পাঠকের মতামত: